পশ্চিম ইউরোপে বন্যায় মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। কয়েক দিনের বন্যায় কমপক্ষে ১৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টি থেকে সৃষ্ট বন্যায় জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ১৫৬ জন ও দক্ষিণ বেলজিয়ামে ২৭ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে। নতুন করে অতিবৃষ্টির কারণে দক্ষিণ জার্মানির অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ড সীমান্তের নদীগুলোর পানি বাড়ছে। সেখানকার কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
তবে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকটি অঞ্চলের পানি ধীরে ধীরে কমছে। বন্যায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে জার্মানির সরকারি স্থাপনায় জাতীয় পতাকা আজ রোববার পর্যন্ত অর্ধনমিত রাখা হয়। আজ সকালে দক্ষিণ জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশের একটি জেলায় অতিবৃষ্টিতে মাটিধস হয়েছে। সেখানে একজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
আল্পস পর্বতমালার ঢালের নদীগুলো থেকে বৃষ্টির পানি পর্যটন এলাকা আলগাউসহ আশপাশের অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সেখানে কয়েক শ উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রায় এক লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, সরবরাহ চালু হতে সময় লাগবে। এ ছাড়া কিছু কিছু এলাকায় পানি ও গ্যাস সরবরাহে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। বন্যা থেকে সৃষ্ট বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছে জার্মান সরকার।
এদিকে, জার্মানির তিন প্রতিবেশী নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও সুইজারল্যান্ডের নদীগুলোতে পানির স্তর বেড়েছে। নেদারল্যান্ডসে বন্যার কারণে একটি বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেলজিয়ামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে পৌঁছেছে।